আব্দুর রহমান ইমন, সন্দ্বীপ প্রতিনিধি: কোভিড-১৯ এর প্রভাবে থমকে আছে পুরো বিশ্ব। চারদিকে হাহাকার আর বাতাসে লাশের গন্ধ। চীন থেকে উৎপত্তি হয়ে ইউরোপ, আমেরিকাসহ বিশ্বের প্রায় উন্নত দেশগুলো করোনায় নাকাল। বিশ্বে মৃত্যুর সংখ্যা ছড়িয়েছে লক্ষাধিক। কোন উপায় ভেবে পাচ্ছে না উন্নত দেশের চিকিৎসা বিজ্ঞানীরা।
বাংলাদেশেও এর প্রভাব পড়েছে। বাংলাদেশে এখন পর্যন্ত ১৪ হাজারেরও বেশি আক্রান্ত, মৃত্যুর সংখ্যা ২ শত ছাড়িয়েছে।
দেশের বিচ্ছিন্ন উপজেলা সন্দ্বীপ। নদী মাতৃক এই দ্বীপে ৪ লক্ষেরও অধিক মানুষের বসবাস। কোভিড-১৯ এই দ্বীপেও হানা দিয়েছে। গাছুয়া ইউনিয়নে নাহিদ নামে একজনকে প্রথম সনাক্ত করা হয়। ৩ মে নাহিদের বন্ধু সার্কেল অনেকের নমুনা সংগ্রহ করে আজ ঘোষাণা আসে তাদের মধ্যে ৬ জন আক্রান্ত।
আক্রান্ত বাড়ছে কিন্তু সচেতনতা নেই দ্বীপে। দ্বীপের বাসিন্দারা এখনো অনিরাপদভাবে রাস্তাঘাটে চলাচল করছে। এখনো হাট-বাজারে সামাজিক দূরত্ব না মেনে চলা হচ্ছে না। সরকার কর্তৃক নির্দেশনা মেনে সীমিত পরিসরে ঈদ উপলক্ষে দোকানপাট খোলার নির্দেশ আসলেও কোন দোকানদার মানছে না সেই নির্দেশনা। নিয়ম ভঙ্গ করে চলছে বেচাকেনা। করোনা প্রতিরোধে নেই কোন সচেতনতাও।
সরেজমিন ঘুরে এমনও দেখা গেছে, অনেক ছোট ছোট দোকানে এক সাথে ১০/১৫জন ক্রেতার ভীড়। শুধু বাজারে নয় সচেতনতা নেই ব্যাংকেও। অনিরাপদভাবে চলছে ব্যাংকিং। সামাজিক দূরত্ব মানা হচ্ছে না সেখানেও। রাস্তাঘাটে লোকজন দেখে মনে হবার উপায় নেই যে, দেশে একটা ভয়াবহ অবস্থা চলছে। প্রশাসন টহল দিলে একটু সচেতনতার ভাব দেখালেও এর পর যার যার মতো চলছে সবাই।
বিশিষ্টজনরা মনে করছেন, নিয়ম-নির্দেশনা না মেনে এরকম অনিরাপদ চলাচল সন্দ্বীপের জন্য ভয়াবহ পরিস্থিতি ডেকে আনতে পারে। এভাবে চলতে থাকলে আগামী ৭ দিনে আক্রান্তের সংখ্যা ৭ জন থেকে ৭ শতজন হয়ে যাওয়াটা আশ্চর্যের কিছু হবে না।
Post a Comment