
ডেস্ক: ইংলিশ ক্লাব নিউক্যাসল ইউনাইটেড কিনতে একের পর এক চ্যালেঞ্জের মুখে পড়ছেন প্রিন্স মুহাম্মদ বিন সালমান (এমবিএস)। বৃটিশ সংবাদমাধ্যম এমবিএসের নিউক্যাসল কেনার খবর প্রকাশ করার পর থেকেই মানবাধিকার সংগঠন অ্যামনেস্টি ইন্টারন্যাশনাল প্রতিবাদ করে আসছে। প্রতিবাদ করছে অন্যান্য মানবাধিকার সংগঠনগুলোও। সবচেয়ে বড় বাধা হয়ে দাঁড়িয়েছে কাতারভিত্তিক টিভি নেটওয়ার্ক বিইন স্পোর্টস। কয়েক বছর ধরেই তাদের অভিযোগ, সৌদি কর্তৃপক্ষের সহায়তায় বিইন স্পোর্টসের লিংক পাইরেসি করে ব্যবসা করছে চ্যানেল নেটওয়ার্ক ‘বিআউটকিউ’ । সৌদির ক্রাউন প্রিন্স সালমানকে নিউক্যাসলের মালিকানায় তাই ঘোর আপত্তি বিইন স্পোর্টসের। ‘দ্য সান’ জানিয়েছে, পাইরেসির ব্যাপারে ইংলিশ প্রিমিয়ার লীগ কর্তৃপক্ষের কাছে প্রমাণাদি সম্বলিত নথিপত্র পেশ করেছে বিইন স্পোর্টস। ফলে আইনী প্রক্রিয়ার কারণে সহসাই নিউক্যাসলের মালিক হতে পারছেন না এমবিএস।
গত মার্চে বৃটিশ সংবাদমাধ্যমগুলো জানায় ৩০০ মিলিয়ন পাউন্ডে নিউক্যাসল ইউনাইটেডের ৮০ শতাংশ মালিকানা কিনতে যা”েছ সৌদির একটি কনসোর্টিয়াম গ্রুপ। যার দেখভাল করেন প্রিন্স সালমান। তার এই প্রচেষ্টাকে ‘আইওয়াশ’ হিসেবে অভিহিত করে মানবাধিকার সংঘটনগুলো। তাদের দাবি, যাবতীয় কুকর্ম ঢাকতে খেলাধুলাকে ঢাল হিসেবে ব্যবহার করার চেষ্টা করছেন ক্রাউন প্রিন্স সালমান।
বিইন স্পোর্টসের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা ইউসুফ আল ওবাইদলি প্রিমিয়ার লীগের প্রধান নির্বাহী রিচার্ড মাস্টার্স এবং প্রতিটি ক্লাবের হেডের কাছে গত মাসের শেষদিকে চিঠি পাঠান। যেকোনো মূল্যে সৌদি মালিকানা বন্ধের অনুরোধ জানান তিনি। তার আশঙ্কা সৌদি আরবের প্রত্যক্ষ মালিকানা বিইন স্পোর্টসের সম্প্রচার সত্ত্বের জন্য হুমকি বাড়াবে। এতে আর্থিকভাবেও ক্ষতিগ্রস্ত হবে প্রতিষ্ঠানটি।
২০১৮ সালে ৪০০ মিলিয়ন পাউন্ডে তিন বছরের জন্য ইংলিশ প্রিমিয়ার লীগের সম্প্রচার সত্ত্ব কেনে কাতারের বিইন স্পোর্টস। বিশ্বের ১৬টি দেশের ফুটবল প্রেমীরা তাদের চ্যানেলের মাধ্যমে উপভোগ করছেন প্রিমিয়ার লীগের ম্যাচ। কিন্তু ২০১৭ সালে সৌদি-কাতার রাজনৈতিক দ্বন্দ্ব প্রকট আকার ধারণ করলে সৌদিতে বিইন স্পোর্টসের সম্প্রচার বন্ধ হয়ে যায়। বর্তমানে সৌদিতে প্রিমিয়ার লীগের ম্যাচগুলো সম্প্রচার করে ‘বিআউটকিউ’ চ্যানেল নেটওয়ার্ক। তারা ‘আরবসাত’ নামে যে স্যাটেলাইট ব্যবহার করে সেটির বিরুদ্ধে অবৈধভাবে বিইন স্পোর্টসের স্ট্রিমিং লিংক ব্যবহার করার অভিযোগ রয়েছে। আরো আগেই ইংলিশ প্রিমিয়ার লীগ কর্তৃপক্ষের কাছে সৌদি আরবের এই পাইরেট স্ট্রিমিংয়ের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়ার আবেদন জানিয়েছিল বিইন স্পোর্টস। কিন্তু পাইরেসি বন্ধের ব্যাপারে কোনো কার্যকরী পদক্ষেপ নিতে পারেনি প্রিমিয়ার লীগ কর্তৃপক্ষ।
-এমজেড
Post a Comment